শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রামেক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই একমাসে ৬৩৫ জন ভর্তি

রামেক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই একমাসে ৬৩৫ জন ভর্তি

রামেক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই একমাসে ৬৩৫ জন ভর্তি
রামেক হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই একমাসে ৬৩৫ জন ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। গত একমাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক হাজার ৬৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের তথ্য বলছে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকে ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে হাসপাতালে গিয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা শয্যা পাচ্ছেন না। ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতেও তাদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। ডায়রিয়া রোগীদের থাকার স্থান হচ্ছে ওয়ার্ডের বাইরে একেবারে মানুষের চলাচলের রাস্তায়। সেখানে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকার কারণে গরমে নাজেহাল হচ্ছেন রোগীরা। এ সব রোগীদের ভরসা হাতপাখা।

রামেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মার্চ এখানে ২২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরপর ৬ তারিখ পর্যন্ত যথাক্রমে ২৭, ২৮, ২৬, ২০ ও ২৬ জন রোগী ভর্তি হন। ৭ মার্চ ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জন হয়। এরপর ১৬ মার্চ পর্যন্ত যথাক্রমে ৩১, ৩৯, ৩৮, ৩৪, ৩০, ৪০, ৪৩, ৪৮ ও ৪৫ জন করে রোগী ভর্তি হন।

এরপর ১৭ মার্চ একদিনে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ৫০ জন ছাড়ায়। ১৭ ও ১৮ মার্চ ভর্তি হন ৫২ জন করে রোগী। ১৯ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন যথাক্রমে ৫৮, ৬২, ৫৯, ৭২, ৮০ ও ৮২ জন ভর্তি হন। ২৫ মার্চ রোগী বেড়ে হয় ৯০ জন। এরপর ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রোজ ভর্তি হন যথাক্রমে ৮৮, ৯৯, ৭৪, ৯৩, ৬১ ও ৭৮ জন। গোটা মার্চ মাসে রামেক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হয় এক হাজার ৬৩৫ জন।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুবুর রহমান বাদশা বলেন, ‘শীত থেকে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গরম এসেছে। এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে। তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ বাইরের বিভিন্ন ধরনের পানীয় কিংবা শরবত খাচ্ছেন। এর ফলে তারা পানিবাহিত এই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’

হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘মার্চের মাঝামাঝি থেকে রোগী খুবই বেশি হচ্ছিল। দু’একদিন ধরে একটু কমছে। রোগী আরও বাড়বে নাকি কমবে তা বলা যাবে না। তবে চিকিৎসার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে।

মতিহার বার্তা / এম আর টি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply